বাচ্চাদের কিভাবে খাওয়ানো উচিত - বাচ্চাদের রুচি ফেরাতে করনীয় জেনে নিন

শিশুরা অধিকাংশ খাবার খেতে চায় না। কান্না করে খাবারের নাম শুনলাম মাত্রই। এইরকম সময়ে বিপদে পড়ে যাই। অধিকাংশ মা-বাবা তখন বাচ্চাদেরকে জোর করে খাওয়ান। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের উপর।তখন খাবারের প্রতি শিশুর ঘৃণা বেশি জন্মামাতে থাকে।তাই আপনি বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়ানোর কৌশল জেনে নিন।
বাচ্চাদের কিভাবে খাওয়ানো উচিত - বাচ্চাদের রুচি ফেরাতে করনীয় জেনে নিন

ভূমিকা

প্রতিটি মায়ের ক্ষেত্রে অভিযোগ হলো শিশু ঠিকমতো খেতে চাই না সে কারণে বেড়ে উঠছে না। মনে রাখবেন শিশুর জন্ম নেওয়ার পরে অধিক ওজন লাভ করে সহজেই।

শিশুকে খাওয়াবেন কিভাবে

তাদের পার্থক্য : প্রতিটি শিশুই প্রতিদিন একই খাবার পছন্দ করে না। কোন শিশুই একঘেয়ানি নিয়ে পছন্দ করে না। সেই কারণে খাবেন না একই খাবার বাচ্চাদেরকে। কিছু নতুন নতুন জিনিস রান্না করলে বাচ্চারা ভালোভাবে খাবে। রান্নার সময় অতিরিক্ত মসলার তেল যোগ করিবেন না। এতে শিশু খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে।

বারবার খাওয়ান একেবারে নয়

বারবার খাওয়ানো উচিত একেবারে নয়। বেশি খাবার কে অল্প অল্প করে ভাগ করে ৩০ মিনিট পরপর শিশুকে সেই খাবারগুলো খাওয়ান। এই নিয়ম পালন করে শিশুকে খাওয়ালে শিশুকে পুরো খাবার টাই খাওয়ানো যাবে।

একসাথে খাওয়া

বড়দের দেখে শিশুরা শেখে। বড়রা যেরকম আচরণ করে সহজেই শিখে ফেলে বাচ্চারা। এজন্য বাচ্চাদেরকে আলাদা করে না খাওয়াই যে একসাথে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে খাবারের প্রতি শিশুরা আগ্রহী হবে।

মুখরোচ খাবারকে না বলুন

বাচ্চারা মুখরোচ খাবার খেতে অধিক পরিমাণে ভালোবাসি তার মধ্য থেকে কয়েকটি মুখরোচ খাবার হলো চকলেট চিপস ইত্যাদি পেট ভারী করে দেয় এসব খাবার। সে কারণে শিশুদের সহজেই খিদে পায় না। সেজন্য শিশুরা খুব বেশি চিপস এবং চকলেট খেতে চাই না এসব খাবারের প্রতি আসক্ত কমাতে হবে। শিশুরা আন্তরিকতার সাথে মুখরোচ খাওয়ার খাইতে চাইলেও দেওয়া যাবে না। তাহলে দেখবেন বাচ্চারা বাড়ির খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হবে।

একই সময়ে খাওয়ানো

একটি নির্দিষ্ট রুটিন করা উচিত শিশুদের খাবার খাওয়ানোর জন্য এর ফলে বাচ্চাদের পাকস্থলীতে সঠিক সময়ে হজমের রাসায়নিক ও এসিড নির্গত হবে। সেই কারণে বাচ্চারা সহজেই ক্ষুধার্ত হয়ে উঠবে। তাই শিশুদেরকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাবার খাওয়ানো উচিত।

টিভি দেখা বা কার্টুন দেখার অভ্যাস

শিশুদের খুবই একটা খারাপ অভ্যাস হলো খাওয়ার সময় টিভি বা কার্টুন দেখা। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় এসব অভ্যাস করানো তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে। অধিক পরিমাণে টিভি দেখলে বা কার্টুন দেখলে শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রচুর ক্ষতি হয়। শিশুদের বদহজম বেড়ে যায় টিভি দেখার সময় খাওয়ালে। এর কারণ হলো খাওয়ার সময় টিভিতে মনোযোগের জন্য পাকস্থলী থেকে প্রয়োজনীয় পরিপাক রস বের হয় না।

কৃমি মুক্ত রাখলে শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি

বাচ্চাদের কৃমি হয়েছে কিনা সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশুদের না খাওয়ার একটু অন্যতম কারণ হলো শিশুদের মধ্যে কৃমির সংক্রমণ। শিশুর ক্ষুধা বৃদ্ধি শিশুকে কৃমি মুক্ত রাখ। অধিক সময় সুষম পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করার জরুরি। বাচ্চাকে সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখলে বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি ঘটে।

খাবার বিরতি লক্ষ্য করুন

বাচ্চাদের জন্য খাবারের বিরতি লক্ষ্য করা জরুরী। সাধারণত শুধু বুকের দুধ দিতে হবে ছয় মাস পর্যন্ত দুই বা তিন ঘন্টার ব্যবধানে। মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার ব্যবহার করতে হবে ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে। মনে রাখবেন বাচ্চারা সব খাবার একেবারে খেতে পারেনা।

বাচ্চাদের রুচি ফেরাতে করণীয়

বাচ্চাদের খাদ্য ও হজম শক্তি বাড়াই , ক্ষুধা বাড়ায, খেলাধুলা ও দৌড়াদৌড়ি করলে। বাচ্চারা না খেতে চাইলে জোর করে খাওয়ানো এড়িয়ে চলতে হবে। বাচ্চাদেরকে তাদের পছন্দ অনুসারে খাবার খাওয়াতে হবে। একই খাবার বারবার খাওয়াবেন না বাচ্চাদেরকে।
প্রতিদিন বিভিন্ন নতুন নতুন এবং ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবারের ব্যবস্থা করুন। পরিবারের সবাইকে একসাথে খাবার খেতে বসা উচিত। খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে উৎসাহিত করতে হবে বাচ্চাদেরকে।

কি খাবার খেলে বাচ্চাদের রুচি বাড়ে

খাওয়ার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে জিংক পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি শিশুদের আরেকটি অরুচির কারণ। মাংস , ডিম , দুধ সহ শাকসবজিতে আরো অনেক ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়। সে কারণে প্রতিদিন খাবারে মিশ্র শাকসবজি রাখতে হবে।

বাচ্চাদের রুচির জন্য কোন সিরাপ ভালো

বন এপেটি অ্যাপ সিরাপটি বাচ্চাদের রুচি বাড়াতে সহায়তা করে। এই শিরাটি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে খাদ্যের আত্তীকরণে সহায়তা করে। অন্ত্রের কৃমি গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি করা হয়।

শেষ কথাঃ বাচ্চাদের কিভাবে খাওয়ানো উচিত - বাচ্চাদের রুচি ফেরাতে করনীয়

কি বন্ধুরা আজকে আমরা বাচ্চাদের কিভাবে খাওয়ানো উচিত ও বাচ্চাদের করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করেছি। আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন। আপনি যদি আমাদেরকে কোন প্রশ্ন বা কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। আজকে এই পর্যন্ত আবারও দেখাচ্ছে কোন নটিকে সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url