জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক আপনি কি জিং ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারী পড়ুন।কারণেই পোস্টটির মধ্যে জিং খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আর দেরি না
করে চলুন জেনে নেই জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত।
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা
জিংক ট্যাবলেটের অনেক উপকারিতা রয়েছে। জিংক হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলেট যা
আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য উপকারী নিচে কিছু উপকারিতা লিখা হলো।
ক্ষত সরানোঃ জিং ট্যাবলেট ক্ষত সারানোর কাজে অত্যাধিক সহায়তা করে। জিং
ট্যাবলেট সহজেই শরীরের ক্ষত জায়গাকে ভালো করে তোলে।
স্বাদ ও গন্ধ বুঝতে সহায়তাঃ জিংক ট্যাবলেট খাদ্যের স্বাদ গ্রহণের সহায়তা
করে। স্বাদ ও গন্ধ বুঝার ক্ষেত্রে জিংক ট্যাবলেট অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
সুস্থ ত্বক ও চুলঃ জিংক ট্যাবলেট ত্বককে নমনীয় করে তোলে এবং চুলের
গোড়াকে শক্ত করে।
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ জিংক স্নায়ুতন্ত্রের কাজে অধিক
সহায়তা করে। জিংক ট্যাবলেট মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের
উন্নতি ঘটায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ ট্যাবলেট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করে। আবার জিংক ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে অধিক
সহায়তা করে।
সর্দি কাশি প্রতিরোধঃ জিংক ট্যাবলেট অধিক সর্দি কাশি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত জিংক ট্যাবলেট খেলে দ্রুত সর্দি কাশি কমতে থাকে।
আঁচিল ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যাঃ জিংক ট্যাবলেট ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার
সমাধানে অধিক প্রযোজ্য। আঁচিল ব্রোন এবং একজিমার এসব সমস্যা দেখা দিলে জিংক
ট্যাবলেট খাওয়া অনেক ভালো।
প্রজনন স্বাস্থ্যঃ প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে জিংক ট্যাবলেট খাওয়া
প্রয়োজন। জিংক ট্যাবলেট নারী এবং পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
উপকারী।
একাডেমিক পারফরমেন্সঃ কিছু কিছু গবেষণা গ্রন্থে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা
দেখেছে যে জিংক ট্যাবলেট গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের মেমোরি ভালো থাকে। জিং
ট্যাবলেট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী জিংক ট্যাবলার গ্রহণ করার সময় সঠিক
নিয়ম মেনে সঠিক ডোজ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা যাবে না।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে গ্রহণ করলে ভালো উপকার পাওয়া সম্ভব।
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার অপকারিতা
ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু অপকারিতা আছে। যদি জিংক ট্যাবলেট বেশি গ্রহণ করা হয় তাহলে
যে ক্ষতি হতে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলো
পেটের সমস্যাঃ বেশি পরিমাণে জিংক ট্যাবলেট গ্রহণ করলে বিভিন্ন পেটের
সমস্যা দেখা যেতে পারে। যেমন পেট ব্যথা ডায়রিয়া ও বমি
রক্তস্বল্পতাঃ জিংক অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে তামার শোষণে বিভিন্ন সমস্যা ঘটায়।
যা দীর্ঘ সময়ে রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করে।
মাথা ঘোরা এবং মাথা ব্যথাঃ বেশি পরিমাণে জিং ট্যাবলেট গ্রহণের ফলে মাথা
ঘুরবে এবং মাথা ব্যথা করবে।
আরো পড়ুনঃ ফাস্ট ভেট ট্যাবলেট এর কাজ কি? জেনে নিন
কিডনি ক্ষতিঃ অতিরিক্ত জিংক গ্রহণ করলে কিডনির অনেক ক্ষতি হতে পারে।
হরমোনাল ইম্ব্যালেন্সঃ থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের জিংক সমস্যা তৈরি করতে
পারে। অধিক জিংক গ্রহণের ফলে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্যের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি
হয়।
প্রোস্টেট সমস্যাঃ কিছু কিছু গবেষণাগার গ্রন্থে গবেষণায় প্রস্তাবিত
হয়েছে যে উচ্চমাত্রায় জিংক গ্রহণ করলে ক্যান্সার রোগ হতে পারে।
মুখের ক্ষতঃ অধিক জিংক গ্রহণ করলে কিছু মানুষের মুখের ভেতরে নানা ধরনের
ক্ষত বা আলসার রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টঃ কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ করে যেই
ব্যক্তির এলার্জি আছে তাদের জিং থেকে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানের সমস্যা হতে পারে। এসব
পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে স্বল্পমাত্রায় এবং স্বল্প সময়ের জন্য গ্রহণ করা
প্রয়োজন এবং প্রয়োজন অনুসারে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
জিংকবি ট্যাবলেটের ডোজ পদ্ধতি বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য ভিন্ন হতে পারে।
যাইহোক, জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার আগে, আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে
সঠিক নিয়মগুলি জেনে নিতে হবে কারণ ওষুধ খাওয়ার নিয়মগুলি ব্যক্তিভেদে
পরিবর্তিত হয়। তবে কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে যা প্রত্যেকের জন্য প্রযোজ্যঃ
- প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন 10 মিলিলিটার বা দুই চামচ দিনে দুই থেকে তিনবার নিতে পারেন।
- শিশুদের জন্য, আপনি প্রতিদিন 10 মিলিলিটার জিংক ট্যাবলেট দিতে পারেন, অর্থাৎ দুই চামচ, দিনে এক থেকে তিনবার।
- শিশুদের জন্য, প্রতিদিন 5 মিলি অর্থাৎ এক চামচ দিনে একবার বা দুবার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী তা জানতে এই পোস্টি বিস্তারিত পড়ুন।
জিংক বি ট্যাবলেটগুলির মধ্যে রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত
নিরাময়, হজম, মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি অব্যাহত
রাখা। এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষুধা এবং গন্ধের অনুভূতি কম থাকে।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়া শরীরের হজম ক্ষমতা এবং ক্ষুধা বাড়ায়, যার পরোক্ষ অর্থ
হল জিংক বি ট্যাবলেট শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করে। কিন্তু অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ
থেকে তা প্রমাণিত নয়।
প্রতিদিন কতটুকু জিংক খাওয়া উচিত
প্রতিদিন 40 মিলিলিটার গ্রামের বেশি পরিমাণে জিংক ব্যবহার করলে জিংক সম্ভবত
পরিশুদ্ধ। বড় বা বেশি মাত্রায় হলে এটি নিরাপদ যখন অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা
হয়। আবার নিয়মিত ৪০ মিলি লিটার গ্রামের বেশি ডোজ জিংক গ্রহণ করলে শরীরের তামা
শোষণ হ্রাস পেতে পারে।
জিংক ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি
জিং ট্যাবলেট নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তার মধ্যে হজমের
সমস্যা এবং ফ্লোর লক্ষণ রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা
হ্রাস করতে পারে।
ঘুমানোর আগে জিংক খেলে কি ওজন কমে?
আপনার ওজন কমানোর ফলাফলের বেশিরভাগই আপনার খাদ্য এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন থেকে
আসবে। আমরা জানি, আপনার মোট ক্যালোরি গ্রহণ বনাম মোট ক্যালোরি ব্যয় নির্ধারণ করে
যে আপনি ওজন হ্রাস করছেন কিনা, যা চর্বি হ্রাসের নীতি।
জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম কত
যারা জিংক বি ট্যাবলেটের দাম জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট। বর্তমানে জিংক বি
ট্যাবলেটের দাম বাড়ছে। স্থান ও অবস্থান ভেদে এর দাম কমবেশি হতে পারে। তাই জিংক
বি ট্যাবলেটের সঠিক মূল্য জানতে আপনি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসি বা ওষুধের দোকানে
চেক করতে পারেন। জিংক বি ট্যাবলেটের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি পিস ৩ থেকে ৪
টাকা। আর জিংক বি ট্যাবলেটের এক প্যাকেটের দাম ১৩০ টাকা।
শেষ কথা
বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত তাই আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের
মাঝে শেয়ার করবেন। আজকে এই পর্যন্ত আবারও দেখা হচ্ছে কোন আর্টিকেলের সাথে ততক্ষণ
পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url